প্রচুর পদ্ম ফোটায় ভুতিয়ার বিল নতুন নাম পেয়েছে পদ্মবিল। চারদিকে পানি আর পানি। সেই পানির ওপর ফুটেছে গোলাপী পদ্মফুল। পদ্ম পাতার উপরে টলমল করছে পরিষ্কার পানি। সুন্দর নয়নাভিরাম এই দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে সৌন্দর্য্য পিপাসুরা ছুটে আসছেন প্রতিদিন। স্থান খুলনার তেরখাদা উপজেলার ভুতিয়ার বিল। যে কাউকেই মুগ্ধ করবে বিলের বিভিন্ন স্থানে ফুটে থাকা পদ্মের এমন সমাহার । এই পদ্মবিলটি নৌকায় ঘুরে দেখতে সময় লাগবে দুই থেকে তিন ঘন্টা আর তার বিনিময়ে দিতে হবে চার থেকে পাঁচশ টাকা। ডিঙি নৌকায় ভেসে জলের ছন্দতালে পদ্মফুল স্পর্শ করার অনুভূতি অন্যরকম।
খুলনা নগরী থেকে ভুতিয়ার বিলের দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। বাস বা টেম্পুতে যেতে ঘণ্টাদেড়েক লাগে। জেলখানা ঘাট পেরিয়ে সেনের বাজার থেকে তেরখাদাগামী বাসে উঠলে হাড়িখালী নামতে হবে। সেখান থেকে ইজিবাইকে চরকুশলা গ্রামের পদ্মবিলে যাওয়া যায়। এছাড়াও তেরখাদা থেকে পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে যাওয়া যায় পদ্মফুলের রাজ্যে ভুতিয়ার বিলে।
ভুতিয়ার বিলে খাবার পাওয়া যাবে না তাই সাথে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি, ছাতা বা ক্যাপসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিতে ভুলবেন না। কারণ বিলের আশেপাশে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু নাও পেতে পারেন। খাবার বা অন্য যেকোনো কিছু নিলে তার প্যাকেট বা অবশিষ্টাংশ নিয়ে ফিরে যথাস্থানে ফেলবেন। প্রকৃতি স্বার্থহীনভাবে আমাদের নির্মল আশীর্বাদ দিয়েছে, আমরা যেন সেই প্রকৃতিকে বিষাক্ত না করি।
ভুতিয়ার বিলের আয়তন প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর। এর মধ্যে মাত্র ৪০-৫০ হেক্টর জমিতে পদ্মফুল ফোটে। বাকিটুকু শ্যাওলা ও আগাছায় ভরা। জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় ভুতিয়ার বিলে ফসল উৎপাদন সম্ভব নয়। এখানে কোনও শিল্প কল-কারখানা নেই। স্থানীয়দের প্রধান আয়ের উৎস কৃষি, মৎস্য ও ব্যবসা। ভুতিয়ার বিল নিয়ে সরকারের বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে। এখানে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। যতদিন না এটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠছে তত দিন পৃষ্টপোষকতা পেলে মৌসুমী পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। এর ফলে স্থানীয়রা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে।
ভাল কথা, আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব পর্যটন দিবস, যার প্রতিপাদ্য: গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন। (ফেসবুক ওয়াল থেকে)
খুলনা গেজেট /এমএম